বিনোদন ডেস্ক: আবারও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সংবাদের শিরোনামে ঢাকাই সিনেমার আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণি। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ‘পরীমণির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে’ এ শিরোনামে একটি সংবাদ যা নিয়ে নেটিজেনদের মাঝে বেশ আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। পরে ফেসবুক লাইভে এসে পরীমনি এ ধরনের গুজব নিয়ে নিজের বিরক্তি প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘মৃত্যু তো আসলে আমার হাতে নেই। আপনি তো জানেন না, কখন চলে যাবেন। আল্লাহর কাছে স্বাভাবিক মৃত্যু চাই সবসময়।’
‘মৃত মানুষকে কখনো লাইভে আসতে দেখেছো?’ ক্যাপশন লিখে ফেসবুক লাইভে আসেন পরীমনি। সেখানে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘চার বছর আগে যা বলেছিলাম, সে কথাই বলছি। আমি স্বাভাবিক মৃত্যু পছন্দ করি। কোনোভাবেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেব না। আমি আমার বাচ্চাদের নিয়ে সুখী আছি। ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া গিয়েছে-এমন খবর রটিয়ে দিয়ে কোনো লাভ হবে না। আবারও বলছি, যদি দেখেন হঠাৎ আমার মৃত্যু হয়েছে, জানবেন-আমাকে খুন করা হয়েছে। আত্মহত্যা করিনি।’
ফেসবুক লাইভে পরীমনি বলেন, ‘সারাদিন শুটিং করে ফোন যখন হাতে নিলাম, আমি শকড। ফোনকলের চেয়ে বেশি মেসেজ। ধরেন, আপনার কোনো আত্মীয় মৃত্যুর খবর শুনলেন, আপনি সেই আত্মীয়কেই ফোন করে জিজ্ঞেস করলেন, আপনি কি বেঁচে আছেন? যেকোনোভাবে গুজবটা ছড়িয়েছে, আমার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কতটা শকিং আমার জন্য!’
তিনি বলেন, ‘এই যে ঝুলন্ত মরদেহটা উদ্ধার করল আমার, তারপরও লাইভে এসে কথা বলছি আপনাদের সঙ্গে। কোনো একটা ফোকাস সরানোর জন্য মানুষ পরীমনিকেই বেছে নেয়। আলুর দাম কমাতে পারছে না বলে পরীমনির বিয়ের খবর করে দাও। এখন বিয়ে দিতে পারছে না বলে একদম মেরে ফেলল।’
লাইভের শেষের দিকে গ্রেফতার হওয়া চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া প্রসঙ্গেও কথা বলেন পরী। ইঙ্গিত দেন, নুসরাত ফারিয়া নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া মানুষের প্রতিক্রিয়া থামাতেই তার মৃত্যুর গুজব চাউর করা হতে পারে। তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে দেশে যা হচ্ছে…আপনারা সবাই অবগত। আমাদের ইন্ডাস্ট্রির একজন স্বনামধন্য শিল্পীকে নিয়ে যা হচ্ছে, সেটা তো কাম্য নয়। সেটা নিয়ে যখন এত কথা হচ্ছে, সেটা থামাতেই কি না…আমি জানি না।’
ভিডিও বার্তার শেষে পরীমনি বলেন, ‘আমি সুইসাইড করার মতো মেয়ে না। আমার জীবনে এখন সুইসাইড করার মতো কোনো ইস্যুই নাই। আমার দুইটা বাচ্চা নিয়ে, কাজ নিয়ে অনেক খুশি। এই খুশির মধ্যে আপনাদের জীবনযাপন ঢুকিয়ে দেবেন না। কিছু হইলে খালি পরীমনিকে নিয়ে টানাটানি কেন? আর কিছু খুঁজে পান না।’