অগ্নিটিভিএইচডি ডেস্ক: বোতামায়ন রোগে ছোট আকারের গাছে অতি ছোট আকারে ফুল ধরে। নাইট্রোজেনের অভাবে কিংবা খাদ্য উপাদানের ঘাটতিতে এরূপ ঘটতে পারে। অনেক সময় ফুলকপি ক্ষুদ্র আকারের প্রাক-মঞ্জুবি উৎপাদন করে। এগুলো বিক্রির উপযুক্ত নয়।
বোতামায়নের কারণ ও প্রতিকার : এ বিষয়ে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা করা হলো।
১. অকালে ফুলকপি গাছে প্রাক-মঞ্জুরি উৎপাদিত হওয়াই বোতামায়নের কারণ
২. আগাম জাতেই বোতামায়ন বেশি হয়
৩. ফুলকপির প্রাক-মঞ্জুরি উৎপাদন তাপমাত্রার ওপর নির্ভরশীল
৪. আগাম জাতের গাছ নিম্ন তাপমাত্রায় উন্মোচিত হলে বোতামায়ন হয়
৫. বীজতলায় অনধিক ১০ সেন্টিমিটার উঁচু ও মাত্র কয়েকটি পাতাধারী গাছেও বোতাম উৎপাদিত হতে দেখা যায়
৬. চারা রোপণ করতে দেরি হলে কিংবা রোপণের পর কোনো কারণে চারার স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হলে বোতামায়নের আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।
প্রতিকার : বোতামায়নের সমস্যা দূর করতে হলে বর্ষজীবী বা আগাম জাতে আগাম মৌসুমে লাগাতে হয়। গাছ যাতে দ্রুত বাড়ে তার নিশ্চয়তা বিধান করতে হয়। বর্ষজীবী জাতের চারা এমনভাবে লাগাতে হয় যাতে তাপমাত্রা কমার আগেই আকারে বড় হয়ে যায়।