1. agnitv778@gmail.com : AGNI TV : AGNI TV
  2. info@www.agnitvhd.com : NEWS TV : NEWS TV
  3. info@www.agnitvhd.com : AGNI TV :
শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ০৭:৩২ অপরাহ্ন

লেবু ঝরে পড়া বন্ধে কিকি করণীয়?

প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০২৫
  • ৩৬ বার পড়া হয়েছে

অগ্নি টিভি এইচডি ডেস্ক: আমাদের দেশে নানা ধরনের লেবু পাওয়া যায়। যেমন- জাড়ালেবু, গন্ধরাজলেবু, কাগজিলেবু, মোসম্বী, সর্বতিলেবু, কমলালেবু ইত্যাদি। অপরিপক্ক অবস্থায় লেবুজাতীয় ফল ঝরে পড়া এক ধরনের জটিল সমস্যা। এক সমীক্ষাতে দেখা গেছে, ফল তোলার ৩-৪ মাস আগে থেকে লাল মাল্টার ৫৭.২ শতাংশ এবং মোসম্বীতে ৫৪.৯ শতাংশ ফল ঝরে পড়ে।

লেবু জাতীয় গাছের ফল অনেক কারণে ঝরে পড়তে পারে। এর মধ্যে হরমোনজনিত, খাদ্যজনিত, রোগজনিত এবং পোকাজনিত কারণই প্রধান। গাছের বৃদ্ধি এবং ফল-ফুল দেওয়ার জন্য সুষম হারে খাদ্যের প্রয়োজন। গাছের প্রধান খাদ্য নাইট্রোজেন, ফসফেট ও পটাশ জাতীয় খাদ্য ছাড়াও গাছের নানা ধরনের অনুখাদ্যের প্রয়োজন। এ অনুখাদ্য খুব কম পরিমাণে দরকার হয় যদিও সময়মত এসব প্রয়োগ না করার ফলে বা গাছ অনুখাদ্য না পাওয়ার জন্য অপরিপক্ক অবস্থায় অনেক ফল ঝরে পড়ে। নানা রোগের কারণে লেবুজাতীয় গাছে অপরিপক্ক অবস্থায় ঝরে যায়। যেমন- ক্যাঙ্কার, স্বেব, গামোসিস, এ্যানথ্রাকনোজ, গ্রিনিং এবং শ্লো ডিক্লাইন বা ধীরে ধীরে গাছ মরে যাওয়া রোগ হয়। গাছে এসব রোগ হলে ফুল-ফল কম ধরে এবং ফুল-ফল শুকিয়ে ঝরে পড়ে।
তাই লেবুজাতীয় গাছের অপরিপক্ব অবস্থায় ফল ঝরে পড়া বন্ধ করতে ব্যবস্থা নিতে হবে।

প্রতিরোধে করণীয়
১. গাছে সুষম হারে সার প্রয়োগ করতে হবে।

২. গাছে অনুখাদ্যের অভাবের লক্ষণ দেখা দিলে অনুখাদ্যের মিশ্রণ প্রয়োগ করা দরকার।

৩. বাজারে পাওয়া মাল্টিপ্লেকস, এগ্রোমিন, ট্রেসেল-২, প্লাই এইড, এগ্রোমর বা প্লান্টফিড প্রভৃতির যে কোনো একটি পরিমাণমতো দিতে হবে।

৪. হরমোন জাতীয় কারণে ফল ঝরে পড়লে গাছে হরমোন স্প্রে করা দরকার। এর জন্য ২.৪-ডি নামক হরমোন ১০ পিপিএম গাছে ২ বার স্প্রে করতে হবে।

৫. প্রথমবার আগস্ট মাসে এবং পরেরবার অক্টোবর মাসে স্প্রে করা দরকার। বাজারে পাওয়া না গেলে ১০-১২ পিপিএম শক্তিযুক্ত প্লেনোফিকস হরমোন ফুল আসার সময় এবং একবার একমাস পর স্প্রে করতে হবে।

৬. বিভিন্ন ধরনের রোগের জন্য সময়মতো প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

৭. গাছের গোড়ায় যাতে পানি না জমে, তা দেখতে হবে।

৮. গাছের গোড়ায় আঠা নিঃসরণ হলে অর্থাৎ গামোসিস রোগ হলে সে অংশ পরিষ্কার করে বর্ডো মলম লাগাতে হবে।

৯. ক্যাঙ্কার এবং অ্যানথ্রাকনোজ রোগ হলে আক্রান্ত কচি ডালপালা, পাতা ছেঁটে ফেলে দূরে নিয়ে ধ্বংস করতে হবে। পরে গাছে ব্লাইটকস বা ফাইটোলান (৪ গ্রাম/লিটার পানি) অথবা ইন্দোফিল এম-৪৫ (২.৫ গ্রাম/লিটার পানিতে) স্প্রে করতে হবে।

১০. গাছে ডাল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণ হলে আক্রান্ত ডালগুলো কেটে ধ্বংস করতে হবে।

১১. কাণ্ড ছিদ্রকারী পোকার প্রাপ্তবয়স্ক পোকা এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত বের হয়ে গাছে বসে। সে সময় এগুলো ধরে মেরে ফেলা উচিত।

১২. কাণ্ড ছিদ্রকারী পোকার গর্তে পেট্রোল বা কেরোসিন ডুবানো কার্পাস তুলো ঢুকিয়ে তা কাদামাটি দিয়ে ঢেকে দিলে পোকা ভেতরে মরে যাবে।

১৩. ফল খাওয়া পোকা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ফল মার্বেলের মতো সাইজ হওয়ার সময় এন্ডাসালফান ওষুধ ০.০৭ শতাংশ স্প্রে করে প্রথম স্প্রে করার ৭ দিন পরপর ফলের বৃদ্ধির সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত স্প্রে করতে হবে।

১৪. ফলের মাছি এবং ফল চোষা পোকা নিয়ন্ত্রণের জন্য ৫ লিটার পানিতে গুড় মিশিয়ে কিছু কমলালেবুর রস মিশিয়ে গাছে ঝুলিয়ে রাখতে হবে। পোকা এ গুড় মিশ্রিত রস খেয়ে মরে যাবে।

১৫. পোকায় আক্রান্ত ফলগুলো সংগ্রহ গর্তে পুঁতে রাখলে পোকার আক্রমণ কম হবে।

এ ব্যবস্থাগুলো নিলে লেবুর ফল ঝরে পড়ে যাওয়া সমস্যা অনেকাংশে বন্ধ করা যাবে। খাবারের টেবিলে সারাবছরই লেবু প্রয়োজনীয় উপাদান। তাই লেবুর যত্ন নিন, অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হতে পারবেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট