তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক: চীনের প্রযুক্তি খাত বিশেষ করে হুয়াওয়ের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চিপ ব্যবহারে যুক্তরাষ্ট্র কঠোর সতর্কবার্তা দিয়েছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, বিশ্বের যেকোনো প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের তৈরি এই চিপ ব্যবহার করলে তা মার্কিন রফতানি নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘন হিসেবে গণ্য হবে। এতে ফৌজদারি শাস্তি পর্যন্ত হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ ব্যুরো অব ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড সিকিউরিটি (বিআইএস) জানিয়েছে, হুয়াওয়ের অ্যাসেন্ড সিরিজের চিপ— Ascend 910B, 910C এবং 910D— যুক্তরাষ্ট্রের সফটওয়্যার, প্রযুক্তি ও উৎপাদন যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে তৈরি। তাই এই চিপগুলো মার্কিন রফতানি নিয়ন্ত্রণ আইনের আওতাভুক্ত। বিশ্বের যেকোনো প্রান্তেই এই চিপ ব্যবহৃত হলেও তা হবে আইন লঙ্ঘনের শামিল।
বিআইএস আরও জানায়, এটি কোনো নতুন নিয়ম নয়, বরং একটি স্পষ্ট ব্যাখ্যা যে, হুয়াওয়ের উন্নত কম্পিউটিং চিপ ব্যবহার করাও রফতানি নিয়ন্ত্রণ আইনের অধীন পড়ে।
রফতানি নিয়ন্ত্রণ আইনজীবী কেভিন উল্ফ বলেন, “এ নির্দেশনা কোনো নতুন আইন নয়, বরং জনসমক্ষে একটি ব্যাখ্যা। এর মানে হচ্ছে, বিশ্বের যেকোনো জায়গায় হুয়াওয়ের ডিজাইনকৃত উন্নত ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট ব্যবহারের মাধ্যমেও রফতানি নিয়ন্ত্রণ বিধি লঙ্ঘিত হতে পারে।”
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার ফলে চীনের অনেক প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়ার চিপ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তারা এখন ব্যাপক হারে হুয়াওয়ের চিপ কিনছে। এই নতুন চাহিদা পূরণে হুয়াওয়ে নিজস্ব আধুনিক সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন লাইন গড়ে তুলেছে এবং উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মনে করছে, হুয়াওয়ের চিপ ব্যবহারের মাধ্যমে দেশটির রফতানি আইনকে পাশ কাটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এর ফলে চীনা প্রযুক্তি খাত বিশেষ করে এআই সক্ষমতা দ্রুতগতিতে এগিয়ে যেতে পারে, যা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।