অগ্নি টিভি প্রতিবেদক: তিনদিনের জাপান সফর শেষে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ শনিবার জাপানের স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি রওনা হন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
তিনি বলেন, টোকিও সফরকালে প্রধান উপদেষ্টা জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইশিবার সাথে একটি সাক্ষাতসহ প্রায় ২০টি অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
আজাদ মজুমদার বলেন, অধ্যাপক ইউনূস রাত ১০টা ৪০ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা তার সফরের তৃতীয় দিনে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। বৈঠককালে দুই নেতা আগামী মাসগুলোতে জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি সম্পাদনের প্রতিশ্রুতি দেন, যার লক্ষ্য দুই বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও গভীর করা।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী বাজেট সহায়তা এবং রেলওয়ে উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশকে ১.০৬৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রতিশ্রুতিও ঘোষণা করেন।
পরে দিনে বিনিময় সংক্রান্ত তিনটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। প্রধান উপদেষ্টা একই দিনে ‘বাংলাদেশ ব্যবসায়িক সেমিনার’-এও বক্তব্য রাখেন, যেখানে
দুই দেশ অর্থনৈতিক, বিনিয়োগ এবং সহযোগিতার অন্যান্য ক্ষেত্রে ছয়টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে।
এর আগে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ও জাপান বাংলাদেশি জনশক্তির দক্ষতা বৃদ্ধি এবং জাপানে তাদের কর্মসংস্থান সহজতর করার জন্য দুটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করে, কারণ দেশটি কর্মীর ঘাটতির মুখোমুখি।
জাপানে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত এক মানবসম্পদ সেমিনারে টোকিওর হিরাকওয়াচো চিয়োদা সিটিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের উপস্থিতিতে চুক্তিগুলো স্বাক্ষরিত হয়।
এর আগে, অনুষ্ঠানে জাপানি কর্তৃপক্ষ এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো দেশের ক্রমবর্ধমান শ্রম ঘাটতি মোকাবেলায় আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশ থেকে কমপক্ষে ১ লাখ কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা ঘোষণা করে।
নিক্কেই ফোরামের ফাঁকে অধ্যাপক ইউনূস মালয়েশিয়ার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের সাথে একটি বৈঠক করেন এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ান নেশনস অ্যাসোসিয়েশনের (আসিয়ান) সদস্য হওয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশকে সমর্থন করার জন্য তাকে আহ্বান জানান।
এদিকে, সামাজিক উদ্ভাবন এবং বৈশ্বিক উন্নয়নে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ শুক্রবার সোকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন অধ্যাপক ইউনূস।
২০০৪ সালে নিক্কেই এশিয়া পুরস্কারপ্রাপ্ত অধ্যাপক ইউনূস ২৮ মে টোকিও পৌঁছান।