1. agnitv778@gmail.com : AGNI TV : AGNI TV
  2. info@www.agnitvhd.com : NEWS TV : NEWS TV
  3. info@www.agnitvhd.com : AGNI TV :
শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ০৮:০২ অপরাহ্ন

সাইবার নিরাপত্তা আইন বাদ দিয়ে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ জারি

প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০২৫
  • ৮ বার পড়া হয়েছে

অগ্নি টিভি প্রতিবদক: ইন্টারনেটকে নাগরিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি, অনলাইন জুয়া নিষিদ্ধ ও অনলাইনে নারী ও শিশু নির্যাতন এবং যৌন হয়রানিকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ উল্লেখ করে ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করেছে সরকার। একইস‌ঙ্গে ২০২৩ সালের সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করা হয়ে‌ছে।

সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩ রহিতক্রমে সাইবার সুরক্ষা নিশ্চিতকরণ এবং সাইবার স্পেসে সংঘটিত অপরাধ শনাক্তকরণ, প্রতিরোধ, দমন ও উক্ত অপরাধ বিচার এবং আনুষঙ্গিক বিষয়ে বিধান প্রণয়নকল্পে প্রণীত হয় এই অধ্যাদেশ।

রাষ্ট্রপতির অনুমোদনক্রমে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব ড. হাফিজ আহমেদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এ অধ্যাদেশের গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ এটি অনুমোদন করে।

এ অধ্যাদেশে সাইবার সুরক্ষা বিষয়ে মোট নয়টি অধ্যায়ে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে। অধ্যাদেশটির প্রথম অধ্যায়ে তার শিরোনাম, সংজ্ঞা এবং এ সংক্রান্ত বিস্তারিত উল্লেখ রয়েছে।

অধ্যাদেশের দ্বিতীয় অধ্যায়ে ‘জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি’ বিষয়ে বলা আছে। এখানে বলা হয়েছে, সরকার গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা একজন মহাপরিচালক ও বিধি ধারা নির্ধারিত সংখ্যক পরিচালকের সমন্বয়ে জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি নামে একটি এজেন্সি গঠন করবে। এজেন্সির প্রধান কার্যালয় ঢাকায় থাকবে। তবে প্রয়োজনে ঢাকার বাইরে দেশের যে কোন স্থানে এর শাখা কার্যালয় স্থাপন করতে পারবে। এজেন্সির দায়িত্ব ও কার্যাবলী বিধি দ্বারা নির্ধারিত হবে।

এই অধ্যাদেশের তৃতীয় অধ্যায়ে সুরক্ষায় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাদির বিস্তারিত বলা হয়েছে।

সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ-২০২৫ এর চতুর্থ অধ্যায়ে এর জাতীয় সাইবার সুরক্ষা কাউন্সিল গঠনের বিস্তারিত বলা হয়। এই অধ্যাদেশের উদ্দেশ্য পূরণে এই কাউন্সিল গঠনের কথা বলা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা/প্রধানমন্ত্রী হবেন এই কাউন্সিলের চেয়ারম্যান। কমিটিতে এই সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, উপদেষ্টা, প্রধানমন্ত্রী বা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবগণ, আইজিপি, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের মহাপরিচালক, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার মহাপরিচালক, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের মহাপরিচালক, জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সির মহাপরিচালক, প্রধান বিচারপতি কর্তৃক মনোনীত সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারক, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান, তথ্য কমিশন সচিব, হেড অফ বাংলাদেশ ফাইনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট, সরকার কর্তৃক মনোনীত তথ্য প্রযুক্তি বা মানবাধিকার বিষয়ক দুইজন বেসরকারি পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ সদস্য থাকবেন।

মহাপরিচালক কাউন্সিলের কার্যসম্পাদনের সাচিবিক সহায়তা প্রদান করবেন। এ কাউন্সিলের ক্ষমতা বিষয়ে বলা হয়েছে, কাউন্সিল, এই অধ্যাদেশ ও তদধীন প্রণীত বিধির বিধান বাস্তবায়নকল্পে, এজেন্সিকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ও পরামর্শ প্রদান করবে।

অধ্যাদেশের পঞ্চম অধ্যায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো, ষষ্ঠ অধ্যায়ে সাইবার বিষয়ক ‘অপরাধ ও দন্ড’ নিয়ে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে। সপ্তম অধ্যায়ে সাইবার ‘অপরাধের তদন্ত ও বিচার’ সম্পর্কে বিস্তারিত বলা হয়েছে। এই অধ্যাদেশের অষ্টম অধ্যায়ে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ে বিশদ উল্লেখ রয়েছে। সর্বশেষ নবম অধ্যায়ে বিবিধ-এ বলা হয়েছে, এই অধ্যাদেশের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিধি প্রণয়ন করতে পারবে।

এই অধ্যাদেশ প্রবর্তনের পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ প্রকাশ করবে। এই অধ্যাদেশ ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে এই অধ্যাদেশ প্রাধান্য পাবে বলে গেজেটে উল্লেখ করা হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট